বড়মাপের এক ভারতীয় উপন্যাস এলো মার্কিন দেশে
পারুল সায়গাল/নিউ ইয়র্ক টাইমস
অনুবাদ আশফাক স্বপন
বিপদ হলো পিঁপড়ার মতো – কদাচিৎ সে একা চলে। ভারতীয় লেখক বিবেক শানবাগের সংক্ষিপ্ত উপন্যাস ‘ঘাচার ঘোচার’-এ (শ্রীনাথ পেরুর-এর অনুবাদ) আমরা প্রত্যক্ষ করি একটি পরিবার কীভাবে বিপদ আর পিঁপড়া দুটোরই আক্রমণে জর্জরিত হয়ে প্রতিরোধের নানা নির্মম উপায় উদ্ভাবন করে। হঠাৎ লব্ধ ধনসম্পদ তাদের নিষ্ঠুরতা আরো এক ধাপ বাড়িয়ে দেয়। কাহিনীর মূল চরিত্র, যার জবানীতে আমরা গল্পটা পড়ি, আমাদের জানায়: ‘লোকে ঠিকই বলে – আমরা অর্থ নিয়ন্ত্রণ করি না, অর্থই আমাদের চালায় ।‘ তবে তার বোধোদয় খানিকটা দেরিতে ঘটে। ‘টাকা-পয়সা যখন পরিমাণে অল্প হয়, তখন সে স্বভাবে মিতচারী। যেই ফুলে ফেঁপে বেড়ে ওঠে, ওমনি উদ্ধত হয়ে ওঠে, আমাদের নিজের খুশিমতো চালায়। এই অর্থই আমাদের এক ঝাপটায় তুলে এনে ঘুর্ণিঝড়ের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলেছে।‘
শানবাগকে আন্তন চেকভের সাথে তুলনা করেছে। একটি পরিবারের গভীর মনস্তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণের ভেতর দিয়ে আমরা গোটা একটি জগতের পরিচয় পাই। এই বইটি যেন আজকের বর্ধিষ্ণু ভারত নিয়ে একটা নীতিকথামূলক গল্প।মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এই ভয়াবহ ইতিবৃত্তের কাহিনীবিন্যাস টান-টান, আয়তন ক্ষীণকায়। বইটি ইতোমধ্যে ভারতে গত এক দশকের সেরা উপন্যাস হিসেবে সম্বর্ধিত হচ্ছে। ইংরেজি নয়, ভারতের নিজস্ব একটি ভাষায় লেখা উপন্যাসের জন্য এটা কম কথা নয়। সমালোচকরা ‘বড় মাপের ভারতীয় উপন্যাস’ বলে যে বস্তুর কল্পনা করেন – সেটা নিয়ে একটা গৎ বাঁধা ধারণা চালু রয়েছে। সেটা হবে আয়তনে বিশাল, তার কাহিনী হবে বহুবিস্তৃত, সেখানে নানান বিচিত্র কণ্ঠস্বরের সমাহার থাকবে এবং সবচেয়ে বড় কথা, তার ভাষাটা হবে ইংরেজি। যেমন ধরুন সালমান রুশদীর ‘মধ্যরাতের সন্তানেরা’ (Midnight’s Children) কিম্বা অরন্ধতী রায়ের ‘ক্ষুদ্র জিনিসের ঈশ্বর‘ (The God of Small Things)। এই অনাড়ম্বর কাহিনীর অনুরাগীরা – এদের মধ্যে সুকেতু মেহতা ও ক্যাথারিন বু রয়েছেন – শানবাগকে আন্তন চেকভের সাথে তুলনা করেছে। একটি পরিবারের গভীর মনস্তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণের ভেতর দিয়ে আমরা গোটা একটি জগতের পরিচয় পাই। এই বইটি যেন আজকের বর্ধিষ্ণু ভারত নিয়ে একটা নীতিকথামূলক গল্প। একই সাথে এটি বাড়ির ভেতর নারী-নির্যাতনের প্রতি কষাঘাত, পিঁপড়ার শ্রেণীবিভাজনের বর্ণনা, আর খোদ অনুবাদ-চর্চার ওপর তীর্যক ভাষ্য।
উপন্যাসের শিরোনাম একটি বানানো কথা যার কোন ভাষাগত ভিত্তি নেই। ‘ঘাচার-ঘোচার’-এর অর্থ এমন একটা ঘোঁট-পাকানো -জগাখিচুড়ি অবস্থা, যেটা আর ঠিক করা যাবে না। কাহিনীর সূত্রধর (যার উদ্দেশ্য মহৎ, কিন্তু উদ্যোগের প্রচণ্ড অভাব – এফ স্কট ফিটজেরাল্ডের ‘গ্রেট গ্যাটসবি’ উপন্যাসের নায়ক নিক ক্যারাওয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়) ‘ঘাচার ঘোচার’ কথাটা প্রথম শুনতে পায় মধুচন্দ্রিমার সময়। হোটেল কক্ষে সে নববিবাহিতা স্ত্রী অনিতাকে প্রবল আবেগে জড়িয়ে ধরে, কিন্তু শাড়ির পেটিকোটের ফিতা কিছুতেই খুলতে পারে না। সব কেমন জট পাকিয়ে গেছে – ‘ঘাচার ঘোচার,’ অনিতা বলে। অনিতা কথাটা তার ছেলেবেলায় শুনেছে। ছোট ভাই ঘুড়ির জট পাকানো সুতার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিজেই শব্দটা বানায়। সূত্রধর এতে আহ্লাদিত হয়। এই যে অনিতা তার ছেলেবেলার গোপন ভাষা তাকে জানালো, এতে সে অনিতার সাথে একটা মধুময় অন্তরঙ্গতা অনুভব করে। পরদিন ভোরে সে বিছানার অবিন্যস্ত চাদর, ওদের জড়াজড়ি করে থাকা পায়ের দিকে ইশারা করে বলে – ‘ঘাচার ঘোচার।‘
প্রতিটি পরিবারই তো নিজেরাই আলাদা আলাদা এক একটা দেশ – তাদের নিজস্ব রীতি, নিয়ম আছে, নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে। অনিতা নিজে তার পরিবারের সামাজিক সাংস্কৃতিক চৌহদ্দির মধ্যে বড় হয়েছে, তবুও সূত্রধর যখন নবপরিণয়ের আনন্দে তার নিজের জগতের কিছু অনিতাকে বলতে যায়, তখন সে যে খুব পছন্দ করে, তা নয়। আসলে বহু বছরের দারিদ্রের মধ্যে বেঁচে থাকতে থাকতে সূত্রধরের অদ্ভুত পরিবারটির প্রতিটি সদস্য এককাট্টা হয়ে চলার শিক্ষালাভ করেছে। সূত্রধর পরিবার থেকে নিজেকে আলাদা করতে ভাবতে হিমসিম খায়: ‘কী এমন কথা আমি বলতে পারি যেটা অন্যদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত নয়? কিছু বলতে গেলেই তিন ভয়ঙ্কর মহিলার কথা চলে আসে।‘ প্রত্যেকের নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। চাচা পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। মসলা প্যাকেজিং-এর কোম্পানি। মা ও বোন – দুজনেই পরাক্রান্ত – সমানে পারিবারিক লড়াই চালাতে ব্যস্ত। তারা সূত্রধরের বাবাকে খুশি রাখে যতদিন না তিনি একটি উইল করেন। বাবা পারিবারিক ব্যবসার অংশীদার। সূত্রধরের লক্ষ্য হলো এই সব ঝামেলা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ‘গভীর নিষ্ঠার সাথে সময় ক্ষেপণ।‘
নতুন স্বামীর নির্লিপ্ততা ও পরিবারের নিষ্ঠুর, উদ্ধত স্বভাব অনিতাকে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। ‘ও তো আমাদের সাথে সেই পুরনো দিনগুলি কাটায় নি,’ সূত্রধর আক্ষেপের সাথে বলে। ‘তখন গোটা পরিবার একতাবদ্ধ ছিল। সব মিলে যেন একটিই শরীর, যেন একটি সার্কাসের দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে ঘটনাচক্রের মোকাবেলা করছে। সেই বাস্তবতা না জানলে, ওর কাছে এসব অন্তঃসারশূন্য নীতিকথা মনে হবে, এ আর আশ্চর্য কি!’
পারিবারিক সম্পর্কের আদান প্রদান শানবাগ খুব ভাল বোঝেন। ভাষার ব্যাপারেও তার সচেতনতা তারিফ করবার মতো। তিনি বোঝেন একটা সরল কথাও পারিবারিক ইতিহাসের কারণে গভীর অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কাহিনীর একটা জায়গায় খুব মজার একটা বর্ণনা রয়েছে। সূত্রধরের মা জানায় তার জন্য বিশেষ নাশতা তৈরি হচ্ছে। সূত্রধর ঠিক ধরে ফেলে – এটা আসলে মায়ের যুদ্ধ ঘোষণা – এবং শোনামাত্রই বাড়ি থেকে পালায়। আসলে মা বিশেষ করে এই রান্নাটাই করছে, কারণ সে জানে অনিতা গন্ধটা সহ্য করতে পারে না। অনিতা ঠিকই ফাঁদে পা রাখে। সূত্রধরের বোন ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে, বাবাও জড়িয়ে পড়ে। ব্যস, একটা বিস্ফোরণ ঘটে।
কন্নড় ভাষায় কথা বলে ৪ কোটি লোক। অর্ধ শতাব্দী আগে ইউ আর অনন্তমুর্তির কন্নড় উপন্যাস ‘সংস্কার’ ইংরেজিতে অনুদিত হয়ে মার্কিন দেশে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর ‘ঘাচার ঘোচার’ এদেশে প্রকাশিত হলো। উপন্যাসটির জন্ম ও ইংরেজিতে অনুবাদের ক্ষেত্রে বিশিষ্টটা রয়েছে। এর অনুবাদ শানবাগ ও পেরুরের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের ফল। পেরুর এই প্রথম অনুবাদ করলো। তবে পেরুর অনুবাদে হাত দিয়েছে কন্নড়ের সাথে ঘনিষ্ঠতার জন্য নয়, বরঞ্চ মাতৃভাষা থেকে দূরত্বের কারণে। আমায় বললো যে তার মাতৃভাষার সাথে কেমন যেন একটা দূরত্ব রয়েছে, তার আশা অনুবাদের ফলে সেই দূরত্ব অনেকটা ঘুচবে। ১৮ মাস ধরে অনুবাদক আর লেখক এই ১১৯ পাতার বইটি নিয়ে কাজ করেছেন – কন্নড় ভাষায় গ্রন্থিমোচন করে আবার ইংরেজিতে পুনর্যোজনা। এখানে ওখানে খানিকটা আলতো সম্পাদনা করা হয়েছে, এমনকি দু-একটি দৃশ্যও যোগ হয়েছে।
কন্নড় ইংরেজি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাষা – আরেকটু ঢিলেঢালা, পুনরাবৃত্তির ব্যাপারে শিথিল। তবে অনুবাদটাই আসল ঝকমারির কাজ ছিলনা। সত্যি কথা বলতে কি, অনুবাদ বরঞ্চ উপন্যাসের কিছু কিছু দিক আরো স্পষ্ট করে তুলেছে। কন্নড় ভাষায় অতীত কাল বোঝাতে জটিল ব্যাকরণের আশ্রয় নিতে হয়। ইংরেজি ভাষা হিসেবে আরো চালু, ফলে বইয়ে ঘটনার ক্রমবিবর্তন মনের সাথে পাল্লা দিয়ে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে আনাগোনা করতে পারে। সত্যি বলতে কি, ভারতীয় ইংরেজিতে কন্নড় থেকে অনুবাদ বরঞ্চ আরো সহজ ছিল। মার্কিন ইংরেজিতে অনুবাদ আরো জটিল। ছোট ছোট ভারতীয় ইংরেজি বাগধারা ভারতীয় পাঠককে পরিচিত আবহ তৈরি করে দেয়। যেমন ‘washing vessels’ কথাটা ভারতীয় ইংরেজি, এবং তাতে হাড়ি-পাতিল ধোয়াধুয়ির ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়, মার্কিনী ইংরেজিতে কথাটা বদলে ‘washing dishes’ করা হয়েছে – এটা ভারতীয় পাঠককে সেই পরিচিত আবহে নিয়ে যায় না। অনুবাদক পেরুর একটি ভারি সুন্দর দেশজ কথা রক্ষা করেছেন। পরিবারটির নামে বদনাম রটেছে যে এরা নাকি চাঁদের আলোয় ছাতা ব্যবহার করে। যে গ্রামে দরিদ্র মানুষের ছাতা কেনার পয়সা নেই অথবা অনেকে ছাতা চেনেই না, নব্য ধনী কত অবান্তর কারণেই না ছাতা ব্যবহার করে!
অনুবাদ যেই আসল গুরুদায়িত্বটা পালন করে তা হলো মূলের অনুচ্চারিত ভাবনা অন্য ভাষায় পৌঁছে দেওয়া। ‘ঘাচার ঘোচার’-এ এই দায়িত্বের গুরুত্ব অসীম – কারণ এই কাহিনীর চরিত্রগুলো নিজেদের গভীরে, বা পরিবারে বা সমাজে এমন একটা শক্তি দ্বারা তাড়িত, যেটা নিয়ে কেমন যেন একটা লুকোচুরি রয়েছে, যেন এই সত্যটি এতই গর্হিত যে তা অনুচ্চার্য। পেরুর-এর প্রয়াস ছিল এমন একটা কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে কাহিনী উপস্থাপন করা যাতে যুগপৎ বুদ্ধি ও বোধের সীমাবদ্ধতা দুই-ই বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থিত। ও বহুবার খসড়া কাটাকুটি করে অবশেষে স্থির নিশ্চিত হয়েছে যে এমন একটা কণ্ঠস্বর তৈরি হয়েছে যার ওপর প্গল্প বলার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
আমাদের হাতে যে বইটি এসেছে সেটা ছিমছাম, সুতনুকা, সৌকর্যে ব্যালে নৃত্যের সৌকুমার্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু মূল উপন্যাসের আসল বাণী কি ইংরেজিতে পৌঁছুতে পেরেছে? বিবেক শানবাগ নিজে অনুবাদের কাজ করেছে। তাকে জিজ্ঞেস করাতে সে তার উপন্যাসের একটা জায়গার কথা স্মরণ করলো। লক্ষণীয় বিষয় হলো এই দৃশ্যটি সে শুধু ইংরেজি অনুবাদের জন্য সংযোজন করেছে। সূত্রধরের স্ত্রী অন্য শহরে বেড়াতে গেছে, সে গিন্নির আলমারিতে অলসভাবে ঘাঁটাঘাঁটি করছে। তার কাপড়, গয়না ছুঁয়ে দেখছে। হঠাৎ সে অনিতার ঘ্রাণ লক্ষ্ করে। এই ঘ্রাণ আরো গভীরভাবে নেবার জন্য সূত্রধর অনিতার শাড়িতে মুখ গোঁজে। কিন্তু যতই সূত্রধর ঘ্রাণের আরো কাছাকাছি আসতে চায়, ঘ্রাণ যেন আরো বেশি দূরে সরে যায়।
“সারা আলমারি জুড়ে যে ঘ্রাণ, সেটা আলাদা করে ওর কোন কাপড়ে খুঁজে পেলাম না। যতই আমি আরো নিবিড়ভাবে ঘ্রাণের খোঁজ করি, ততটাই ঘ্রাণটা আমার থেকে দূরে চলে যায়। ভালবাসা, শঙ্কা, অধিকার, কামনা, অপ্রাপ্তির বেদনা – নানান অনুভূতির এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ আমার চেতনাকে প্রবলভাবে ভাসিয়ে নিয়ে যায় যেটার আন্দাজ আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। সেই অনুভূতির বেগ যখন থামলো তখন আমি প্রায় ভেঙে পড়েছি। ‘
শানবাগ যে কথাটার ইঙ্গিত করছে, তা হলো উপন্যাসের মূলসূত্রটি ঘ্রাণের মতো সারা বইয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। সেটা সামগ্রিকভাবেই বইটি থেকে উঠে আসে, আলাদা কোন জায়গায় তাকে চিহ্নিত করা যাবে না। আসলে ঐভাবে আলাদা করার চেষ্টাটাও হয়তো অবান্তর। অনুবাদ শুধু এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় ভাববহনের তরণী নয়, সেটা তো আরো বেশি কিছু বয়ে আনে। এটিই অনুবাদের গুঢ় স্বভাব (‘যতই আমি আরো নিবিড়ভাবে ঘ্রাণের খোঁজ করি, ততটাই ঘ্রাণটা আমার থেক দূরে চলে যায়।‘) অনুবাদে একধরনের তৃপ্তিদায়ক না-পাওয়ার আকুতি রয়েছে, আর তাকে জড়িয়ে অনুভূতির যে গাঢ়তা বিরাজ করে, সেটা যেন সূত্রধরের পরিধেয় বস্ত্রের মধ্যে প্রেমাস্পদের সান্নিধ্য খোঁজার মতই রহস্যময়।
আশফাক স্বপনঃ
আশফাক স্বপন ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী উপমহাদেশীয় সংবাদ মাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন। বর্তমানে ঢাকার Daily Star পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। তার লেখা বাংলাদেশের প্রথম আলো, সমকাল, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, পাকিস্তানের Dawn, ভারতের Times of India ও Statesman পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আটলান্টায় থাকেন।
No comments:
Post a Comment